বর্তমান ক্রিকেটে আউট কত প্রকার এবংআরো কিছু গুতুত্বপূর্ণ লেখা এখন লেখক ডট মি এর ক্রিকেট খেলা ক্যাটাগরিতে দেখতে পাবেন ইমরুল কায়েস- বাংলাদেশ দলের অন্যতম ওপেনিং ব্যাটসম্যান - ecricbd

Sunday, April 21, 2019

ইমরুল কায়েস- বাংলাদেশ দলের অন্যতম ওপেনিং ব্যাটসম্যান

বাংলাদেশী ওপেনার ইমরুল কায়েস আসন্ন বিশ্বকাপের ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পান নি। তার মত একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে কেন নেয়া হয় নি সেটা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের আলোচনা, সমালোচনা এবং মস্তিষ্কবিকৃত কিছু মানুষের গালাগালির ফোয়ারা চলছে। আজকে আমরা একটি ছোটখাট বিশ্লেষণের চেষ্টা করবো।

ইমরুল কায়েস ছাড়া বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দল

মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল খান, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত

এখানে ওপেনার আছেন তিনজন তামিম ইকবাল, লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার। তামিম অটোম্যাটিক চয়েস, লিটন এবং সৌম্য এই দুই জনের কার বদলে ইমরুলকে নেয়া যেত কিংবা, এই দুজনকে রেখেই তাকে দলে জায়গা দেয়া যেত কি না সেটা নিয়ে একটু বিশ্লেষণ করে দেখি-

পরিসংখ্যান কি বলে?

ইমরুল কায়েসঃ ইমরুলের বয়স- ৩২, ২০০৮ সালে অভিষেক- সেই হিসাবে তিনি ১০ বছর জাতীয় দলে খেলেও নিশ্চিত দলে জায়গা পাবেন এরকম অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। ৭৮ ম্যাচ ব্যাটিং করে ৩২ গড়ে ৭১ স্ট্রাইক রেটে ৪ টি সেঞ্চুরি ও ১৬ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।

সৌম্য সরকারঃ ২৬ বছর বয়সী এই ওপেনারের অভিষেক ২০১৪ সালে। জাতীয় দলে ৪ বছর মোটামুটি নিয়মিত খেলেও দলে স্থায়ী জায়গা তৈরি করতে পারেননি। ৪০ ম্যাচ ব্যাটিং করে ৩৪ গড়ে ৯৮ স্ট্রাইক রেটে ২ টি সেঞ্চুরি এবং ৭ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।  অতিরিক্ত যোগ্যতা- বোলিং করতে পারেন।

লিটন দাসঃ ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের অভিষেক ২০১৫ সালে। জাতীয় দলে ৩ বছর খেলে এখনো স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারেননি। ২৭ ম্যাচ ব্যাটিং করে প্রায় ২০ গড়ে এবং ৮০ স্ট্রাইক রেটে ১ টি সেঞ্চুরি এবং একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। অতিরিক্ত যোগ্যতা- উইকেট কিপিং করতে পারেন।

বিশ্লেষণঃ

তিনজনের ভেতর ইমরুল কায়েস সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যিনি দলে জায়গা স্থায়ী করতে ব্যর্থ- তার বদলে যাদের নেয়া হচ্ছে তাদেরও বেশ কিছু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। গড়, সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি এবং স্ট্রাইক রেটের বিচারে সৌম্য অটোমেটিক চয়েস। এখন কথা হচ্ছে- সাদা চোখে লিটনের চেয়ে ইমরুলের পারফরম্যান্স ভালো, নিলে তাকেই দলে নেয়া উচিত। ১০ বছর ধরে ইমরুলের কাছে দল যা চেয়েছে তা তিনি দিতে পারেননি- শুধু সম্ভাবনা দেখিয়েছেন, তার যোগ্যতা নিয়ে কারো সন্দেহ  নেই। লিটনেরও একই অবস্থা, তবে সেটা ৩ বছর ধরে। লিটনের সম্ভাবনা বেশী- কারণ তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্প্রতি অসাধারণ কিছু ইনিংস খেলেছেন যা ইমরুল পারেননি(খুব একটা খারাপও খেলেননি)। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলে উইকেট কিপার শুধু মুশফিকুর রহিম, আরেকজন উইকেট কিপার রাখতে হলে লিটনকে রাখতে হবে।

ইমরুলকে দলে নেয়া হলে সেটি নিয়ে আরো বেশী সমালোচনা হতো- কারণ, সেটি আরো বেশী অযৌক্তিক

প্রসঙ্গ আয়ারল্যান্ড সফর এবং রাহীঃ

আবু জায়েদ চৌধুরি রাহীকে দলে নিয়ে চমক দেখাতে চেয়েছেন নির্বাচকেরা। কিন্তু বিশ্বকাপের মত মঞ্চে আনাড়ি কাউকে দিয়ে ভালো কিছু হয়েছে এমন উদাহরণ কম, আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এমন খেলোয়াড়দেরই প্রাধান্য দেয়া উচিত। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে তার ইকনমি, উইকেট, এভারেজ এগুলো ভালো। পেসার একজন কম নেয়ার পরিকল্পনা থাকলে ইমরুলকে সুযোগ দেয়া যেত, কিন্তু ইংল্যান্ডে খেলা হওয়ায় সেটাও রিস্কি। তাই, দলে একটি – দুটি পরিবর্তন আসলেও ইমরুল আসবে না(আয়ারল্যান্ড সফরের দলেও সে নেই)। আপনাদের মত আমিও অপেক্ষায় আছি, দেখা যাক……

No comments:

Post a Comment